ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় ২ জন নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোতে এখন সেদিনের অস্ত্রধারীদের পরিচয় বের হতে শুরু হয়েছে।
হত্যাকারী ও সেদিনের অস্ত্রধারীদের পরিষ্কার ভিডিও ও স্থিরচিত্র থাকার পরেও সেই সংঘর্ষের ঘটনায় আসামী করা হয়েছে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের এমনকি যার সাথে সেই ঘটনার নূন্যতম যোগসূত্র নেই সেই বিএনপি নেতাকে করা হয়েছে প্রধান আসামী।
কিন্তু ঘটনার কয়েকদিন পর একাধিক গণমাধ্যমের অনুসন্ধান এবং স্থিরচিত্র ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এঘটনার সাথে সরাসরি আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।
দেশের গণমাধ্যমগুলো বলছে, সেদিন নিউ মার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নিহত ডেলিভারিম্যান নাহিদকে যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছিল তার নাম ইমন। তিনি ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সামাদ আজাদ জুলফিকারের অনুসারী।
এছাড়াও সেদিন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের একাধিক গ্রুপ সেই সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল এবং পেট্রল বোমা বানিয়ে ব্যবসায়ীদের উপর এবং তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর নিক্ষেপ করেছিল বলেও খবর বেড়িয়েছে ।
এতসব সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেশের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হলেও এখন পর্যন্ত ছাত্রলীগের সেসব হামলাকারীদের গ্রেফতার করা হয় নি বরং শুধুমাত্র দোকান বরাদ্দ নিয়ে ভাড়া দেওয়ার কারণে বিএনপি নেতা মকবুল হোসেন সরদারকে এই মামলায় প্রধান আসামী হিসেবে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
এসব তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ নানান প্রতিকূলতার মাঝেও বলা ও লেখার চেষ্টা করতেছে এগুলোই কি হাসিনার কলম? যে কলম দিয়ে মানুষের শরীরের উপর লেখা হয়!
প্রসঙ্গত, দখলদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় বক্তব্যে বলে থাকেন, “খালেদা জিয়া ছাত্রদের অস্ত্র দিয়েছিলেন, আমি দিয়েছি খাতা–কলম’’।